ধাক্কা

একজন লোক হেঁটে যাচ্ছে



ব্যালা দশটা বাইজ্যা গেলছে তাও ফের রুহান লাক ডাইক্যা নিন পাড়ছে।বাসি প্যাটে বাসি মুখে ছ্যাল্যার এরকুম আজোগা নিন পাড়া দেখ্যা মা হাঁইস্যাল থাইক্যা ম্যাল্লাই জোরে চিল্লিয়্য কহ্যছে, "রুহান ব্যাটা!আর কত নিন পাড়বি? " 

কুনু চালাশব্দ না পায়্যা রুহানের আঁড়ি মা অর শুতার  ঘরে আইস্যা সিথ্যানের পাঞ্জরে বৈস্যা ফের ক্যহলে,

"পাঁহাত থাইক্যা ম্যাল্লাইব্যার ডাকনু তাওফের গৈড়া বলের ঠিকিন বিছানায় পৈড়া আছিস।কাইল রাইতে সামশি থাইক্যা আইস্যা নাখাইয়্যা শুতলি আর উঠলিন্যা!

"পাঁহাত থাইক্যা ম্যাল্লাইব্যার ডাকনু তাওফের গৈড়া বলের ঠিকিন বিছানায় পৈড়া আছিস।কাইল রাইতে সামশি থাইক্যা আইস্যা নাখাইয়্যা শুতলি আর উঠলিন্যা!

কুনু সাড়া না পায়্যা আহমুক হৈয়্যা রুহানের মা ফের হাঁইস্যালে দুপ্পহারের ভাত আন্ধিতে চৈলা গ্যালো ।


গুঞ্জুড়্যার ঠিকিন লিশিত্ত্যা হৈয়্যা এ্যাকটা ম্যাল্লাই জোরে হাইম তুল্যা রুহান অ্যাখন বিছ্যান থাইক্যা উঠল।ভাক্কুড় গতরে অ্যাখান  পুরানা ময়লছ্যা গামছা গলায় ব্যাড় দিয়্যা  কলগেট মাখা বেরাস লিয়্যা

কান্টা চৈল্যা গ্যালো।মুইন্ট্যারঘে কায়ট্যা থুয়া বুঢ়্হা  ছালবাকলা উঠা আমগাছের ধড়ে বস্যা রুহান খসার খসার কৈরা দাঁতে বেরাস ঘুষতে লাগলো।


 আইজক্যা রুহানের বুকে কাঁচ্চা ইঁটের ভাট্ঠায় জ্বলা দগদৈগ্যা কয়ল্যার আগুনের ঠিকিন দুঃখের আগুন জ্বলেছে।বাপ হারা ছাইল্যাকে ঐরকম হালাতে দেখ্যা কুনু বেওয়া মা কি কুনু সুখ পাইবে?

এল্যাগ্যা রুহান অর মাকে অর কুনু দুঃখের কথা কহিতে চাহে না।


 কাইল সামশি গেছোলো অ্যাকটা কাজ করবে কৈহ্যা।

 মুন্টু মাল্লাইদিন হনে সামশিতে অ্যাকটা মিশনে পড়্হাইছে। রুহানের মা ব্যাগাত্তা কৈরা মন্টুকে কৈহ্যাছিল, "বাছা মুন্টু! হার অ্যাকলা সংসারের অভাব মিটেনা। লক্ষ্মীভান্ডারের কটা টাকা আর দ্যাড় বিঘা ভুঁইয়ে ফসলের যা হয়।তোর চাছা মরার পর  দুবিঘ্যা জমি তো রুহানকে বি এড. আর লেখাপড়্হা করাইতে চৈলা গ্যালো। হাঁর রুহানের লাইগ্যা এ্যাকটা কাজ ধুড়্যা দিলে.....!"


মন্টু: ম্যাল্লাই কষ্ট কৈরা আল্লাহর দয়ায় মিশনে কাজটা পাইনু।

রুহান: বেতুন কত?

মন্টু: সাড়ে তিন হাজার। এ হস্টেলেই থাকবি । খাওয়া দাওয়া বিন্যাপায়সায়।ও হাঁ! সাঁঝের ব্যালা সিরাজদার বাড়ি তোর লাইগ্যা হোমটিশনি ঠিক কৈরাছি। তাঁর এ্যাকটা বারো বচছরের ছ্যাল্যাকে পড়্হাবি ।সপ্তাহে তিনদিন মাসে পনরোশো বুঝলি?


মন্টুর কথা মাইনা রুহান সাঁঝের ব্যালা সিরাজউদ্দিন সাহেবের বাড়ি আসে তাঁর বার বছরের ছাইল্যাকে পড়্হাইতে। দুয়ারে কলিং বেল ব্যাজ্যা উঠতে না উঠতেই একঝনা চৌত্রিশ বচছরের মাইয়্যা দুয়ারের পাল্লার ঐপ্প্যার হনে কহিলে , "কে? কী খবর?"

- টিউশনি মাস্টার।

- আরে ! রুহান তুমি?হে আল্লাহ!এ্যাত বোছোর পর...

- হাঁ! আমি।এ্যাত বো-ছো-র!

-বাড়ির ভিতির আইসো।


কুনু কথা না কহ্যা গোঙ্গার ঠিকিন রুহান মুখ ঘুরিয়্যা

ফের ডহারের দিকে হাঁটতে লাগলো।পাছাদিক থাইক্যা রুহান রুহান চিল্লানি আইলো ।রুহান পাছাদিকে  ঘুইরা দেখলো না।

বারো বোছোর আগে কলেজে ফেল্যা আসা হাসিনা আই্যজ বারো বোছোরের ছ্যাল্যার মা। বারো বোছোর ধৈরা হারিয়্যা যাওয়া হাসিনা, বারো বোছোর ধৈরা বিএড,টেট পাশ কৈরা বস্যা থাকার দুঃখ কষ্টের দেলে ধাক্কা


আইজ থাইক্যা বারো বোছোর আগে ম্যাল্লা স্বপোন দেখতো মাস্টার হৈবার। বারো বোছোর আগে কলেজে ফেল্যা আসা হাসিনা আই্যজ বারো বোছোরের ছ্যাল্যার মা। বারো বোছোর ধৈরা হারিয়্যা যাওয়া হাসিনা, বারো বোছোর ধৈরা বিএড,টেট পাশ কৈরা বস্যা থাকার দুঃখ কষ্টের দেলে ধাক্কা 

 আইজক্যা রুহানের বুকে কাঁচ্চা ইঁটের ভাট্ঠায় জ্বলা দগদৈগ্যা কয়ল্যার আগুনের ঠিকিন জ্বলছে। আর এগল্যা কথা মাকে কৈহা জ্বলা আগুনে আর ঘি ঢালতে চাহেনা রুহান। গোটা রাইতে নিন কাম্হায়ের হাইন্ঠ্যা হাইম তুইল্যা বাকলা ছাড়া কাটা আমগাছের ধড় থাইক্যা নাইম্যা রুহান হাঁইস্যাল ঘরে মার কাছে চৈলা আইলো।

আব্দুর রহিম

^

Comments

Popular Posts